ইন্টারনেট ছাড়া আধুনিক পৃথিবী অকল্পনীয়। প্রায় ৪.৫বিলিয়নেরও অধিক সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে যারা তাদের তথ্য আদান প্রদান করে থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। যার ফলে অনলাইন জগতে ব্যবসাহিক পণ্য ও সেবার প্রচারণার সুযোগ তৈরী হয়েছে। এই লেখনীতে আমি আপনাদের সাথে ডিজিটাল ব্যবসায়িক প্রচারণার প্রাথমিক ধারণা শেয়ার করবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কী ?
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এক ধরণের প্রচারণা যা ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এটি হচ্ছে ইন্টারনেটের সকল পদ্ধতি ব্যবহার করে সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়া। এটা অনলাইন প্রচারণা হিসেবেও পরিচিত। এই ধরণের প্রচারণার লক্ষ্য হচ্ছে অনলাইনের যে যে মাধ্যমে কাস্টমার আছে তাদের কাছে পৌঁছানো।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রসমূহ:
ডিজিটাল সেবা বা পণ্য প্রচারণার জন্য নানা ধরণের পদ্ধতি ও মাধ্যম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা মাধ্যমই স্ব স্ব স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যার মাধ্যমে আমরা পণ্য ও সেবা বিক্রয় করে থাকি। নিচে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল মাধ্যম বা অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল গুলো তুলে ধরা হলো :
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)
- পে-পার-ক্লিক আডভার্টাইজমেন্ট
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ওয়েবসাইট মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- মোবাইল মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা:
ইন্টারনেটের কল্যানে আমাদের বিশ্ব এখন বিশ্বগ্রামে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা নিজ দেশে বসে থেকে গোটা বিশ্বে আমাদের সেবা ও পণ্য পৌঁছে দিতে পারি। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বগুলো তুলে ধরা হলো :
- বিশ্বের কাছে নিজের পণ্য ও পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরা যায়
- সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে স্বল্পসময় ও খরচে সেবা বা পণ্য পৌঁছানো যায়
- ক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরিকরা যায়
- খুব সহজেই নিজের সম্ভাব্য ক্রেতাদের লক্ষ্য করে প্রচারণা চালানো যায়
- ক্রেতাদের আকর্ষণ ও ব্যবহারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যায়
পরের লেখনীতে আমি প্রতিটি অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল ও তাদের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনাদের ব্যবসায়িক প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোনো সহায়তা লাগলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন sbrukaya@gmail.com.

Comments
Post a Comment