এখানে ১০ টি অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো যে গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসাকে উন্নত করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কী ?
ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল বা ডিজিটাল এডভার্টাইজিং চ্যানেল হচ্ছে অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম ও পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্র্যান্ড, পণ্য বা সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলের মধ্যে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ,ইমেইল, কনটেন্ট মার্কেটিং, SEO, PPC উল্লেখযোগ্য। এই মাধ্যম গুলো আপনার গ্রাহকদের সাথে সম্পৃক্ত করে ব্যবসার প্রসার ঘটায়। চলুন দেখে নেয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং চ্যানেলগুলোর কার্যক্রম।
1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM):
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, লিংকডইন, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্র্যান্ড, পণ্য ও সেবার প্রচারণা করা। এটি এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেটিং টুল। কারণ
- মিলিয়ন মিলিয়ন সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যাবে যারা প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করে থাকে।
- আপনি তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরী করে কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়।
- গ্রাহকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আপনি মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরী করতে পারবেন।
- আপনার প্রতিযোগীদের কলাকৌশলের উপর নজর রাখতে পারবেন এবং নিজের ব্যবসায় সেগুলো প্রয়োগ করতে পারবেন।
- সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে বিশ্বস্ততা ও নির্ভরশীলতা তৈরির মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।
2. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO):
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান হচ্ছে এমন এক ধরণের পদ্ধতি যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে আপনার ওয়েবসাইটকে সবার আগে দেখাতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনি আপনার কাস্টমার, লীডস এবং পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে পারেন। SEO ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই মাধ্যমে আপনি প্রচারণা চালালে খুব সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত কাস্টোমারকে আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন।
3. পে-পার-ক্লিক আডভার্টাইজমেন্ট:
পে-পার -ক্লিক অথবা PPC হচ্ছে এক ধরণের অনলাইন প্রচারণা পদ্ধতি যেখানে বিজ্ঞাপনে প্রতিবার ক্লিক করলে তার জন্য শুধু মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এটা হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ওয়েবসাইটে গ্রাহক স্বেচ্ছায় আসার পরিবর্তে তাদের কিনে আনতে হয়। PPC পদ্ধতি ব্যবহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো Google Ads। Google Ads ব্যবহার করে খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়। ফলে খুব দ্রুত সেবা গ্রহীতার কাছে পৌঁছানো যায় এবং বিক্রয় বাড়ানো যায়।
4. এফিলিয়েট মার্কেটিং:
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো প্রতিনিধির সাথে সমন্বিত সেবা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা যেখানে মুনাফার অংশ শেয়ার করা হয়। এই ধরণের বিজ্ঞাপনের ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক গ্রহীতার কাছে পৌঁছানো যায় ও বিক্রয় বাড়ানো যায়।
5. ওয়েবসাইট মার্কেটিং:
ব্র্যান্ড বা ব্যবসার অনলাইন প্রতিনিধিত্বই হচ্ছে ওয়েবসাইট। যেখানে সেবা বা পণ্যের প্রদর্শনী করা হয়ে থাকে। সেটা ব্যবসাহিক বা ব্যক্তিগত উভয়ই হতে পারে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মূলত গ্রাহককে আকর্ষিত করা হয়।
6. কনটেন্ট মার্কেটিং:
কনটেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে এক ধরণের কৌশল যার মাধ্যমে আমরা নিজেদের চিন্তা ভাবনা, জীবনযাপন, বিনোদন, ব্যবসায়িক বা সেবার প্রচারণা করে ক্রেতাকে ধরে রাখি বা আকর্ষিত করি। এর সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষা, জ্ঞান , সেবা, তথ্য, উৎসাহ বা বিনোদন বিতরণ করা এবং গ্রাহককে সম্ভাব্য ক্রেতায় রূপান্তর করা। কনটেন্ট সেটা হতে পারে ভিডিও, ব্লগ পোস্ট, ইবুক, ছবি, পডকাস্ট আকারে।
7. ইমেইল মার্কেটিং:
8. মোবাইল মার্কেটিং:
9. ভিডিও মার্কেটিং:

Comments
Post a Comment